শীতলা দেবী হিন্দুদের একজন লৌকিক দেবী। পুরাণ অনুসারে শীতলা দেবী আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গারই একটি রূপ। এজন্য মা শীতলাকে অনেকে পৌরাণিক দেবীও বলে থাকেন। ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষত উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, নেপাল, বাংলাদেশে শীতলা দেবীর পূজা করা হয়।
দোলপূর্ণিমার পর অষ্টমী তিথিতে শীতলা দেবীর পূজা করা হয়। এই তিথিটি শীতলাষ্টমী নামে পরিচিত।
বসন্ত ঋতু শুধু প্রেম-ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় না, সঙ্গে নিয়ে আসে নানা রোগ-ব্যাধির জীবাণু। বসন্ত ও চর্মরোগ থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে মা শীতলা পূজা করা হয়। ভক্তগণের মতে, এ দেবীর পূজা করলে বসন্ত রোগের জ্বালা নিবারণ হয়ে শরীর শীতল হয়ে যায়। এ কারণে এ দেবী শীতলা নামে পরিচিত হয়েছেন । শীতলা দেবীর এক হাতে থাকে সম্মার্জনী বা ঝাড়ু আর অন্য হাতে জলের কলস।। ভক্তদের ব্যাখ্যায়, ওই ঝাঁড়ু দিয়ে দেবী সমস্ত জীবাণু নষ্ট করে জল দিয়ে রোগ নির্মূল করেন। কখনো কখনো তিনি নিমের পাতা বহন করে থাকেন। নিম রোগ প্রতিরোধকারী উদ্ভিদ। শীতলা কে স্বাস্থ্যবিধি পালন বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দেবী বলা হয়। শীতলা পূজার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন হয়ে থাকি। অপদেবতার হাত থেকেও তিনি রক্ষা করেন। তাঁর কৃপায় সকল অমঙ্গল দূর হয়।
শীতলা দেবীর মাথায় কুলা আকৃতি মুকুট এবং গর্দব এর উপর তিনি উপবিষ্ট থাকেন। গর্দব তার বাহন। স্কন্দপুরাণে বর্ণিত শীতলা দেবী শ্বেতবর্ণা ও দুই হাত বিশিষ্ট ৷
আরও দেখুন...